September 22, 2024, 12:40 pm

সংবাদ শিরোনাম
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ফয়জুল আজীম নোমান এর যোগদান জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে শহীদ জিয়া ও সকল শহীদদের স্মরণে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আওয়ামী লীগ হত্যা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না: হানিফ

আওয়ামী লীগ হত্যা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না: হানিফ

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়াকে কারাগারে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে- বিএনপির এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, কি কারণে খালেদা জিয়াকে জেলখানায় হত্যা করতে হবে? হত্যা-খুনের রাজনীতি তো বিএনপি করে ক্ষমতা দখলের জন্য, যা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল। তারপর থেকে দেশে যতো হত্যা-খুনের রাজনীতি হয়েছে সবই বিএনপি করেছে। আওয়ামী লীগ কখনও হত্যা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। গতকাল শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, বিএনপি আসলে এতটাই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে, যে তারা এখন নদীতে পড়ে যে কোনো ধরনের খড়কুটো আঁকড়ে ধরেও বাঁচার চেষ্টা করছে। বিএনপি এখন ডুবন্ত ও জনবিচ্ছিন্ন দল। এরা কখন কি বলছে তারা আগাও নেই, মাথাও নেই। খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, উনার সমস্যা কোথায়? উনি সুস্থ আছেন। অসুস্থতা না, আদালত ভীতির কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে চান না বলেও মন্তব্য করেছেন হানিফ। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, উনাকে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সেরা ফিজিওথেরাপিস্ট উনাকে থেরাপি দিচ্ছেন। উনি আদালতে হাজির হতে চান না। গত ছয় মাসে আদালতে হাজির হন নাই। সেদিন আদালত যখন চিন্তা করলেন যে উনি অসুস্থতার অজুহাতে আদালতে আসেন না, সেই কারণে আদালতই নিয়ে গেলেন কারাগারে। কারাগারের ওখানেই আদালত বসানো যাতে ওঁর সুবিধা হয়। উনি সেদিন এসে বললেন যে, আমি আর আসব না। যা বিচার হয় করুন। এই কথার মধ্য দিয়ে দুইটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। এখনো যে উনি আদালতকে প্রচ- ভয় পান। কারণ যে কোনো অপরাধীই যখন অপরাধ করে তখন তাঁর মধ্যে বিচার ব্যবস্থাটা একটা ভয়ের সঞ্চার করে। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি হয়। শুনানিকালে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, জজ সাহেবের কাছে কোনো কথা বা নিবেদন করা যায় না। উনি তারিখ দিয়ে উঠে চলে যান। আমাদের কারো কথা শুনেন না। সরকারের হুকুমে এবং নির্দেশে তিনি সব কিছু পরিচালনা করছেন। আমার পায়ে ব্যথা। ডাক্তার আমাকে পা সব সময় উঁচু করে রাখতে বলেছেন। হাতেও প্রচ- ব্যথা। আমাকে জোর করে এখানে আনা হয়েছে। আমি খুবই অসুস্থ। আমি ঘন ঘন কোনো হাজিরা দিতে পারব না। রায় তো লেখাই আছে। আমার হাত-পা প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের যা ইচ্ছে রায় দেন, যত খুশি সাজা দিয়ে দেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়ার দাবি জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, আগে চিকিৎসা তারপর বিচার। খালেদা জিয়ার বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আজ সাক্ষাতে ম্যাডামকে যেভাবে দেখেছি তাতে তিনি কীভাবে আগের দিন আদালতে এসেছেন সেটা ভাবছি। তিনি বাম হাত নাড়াতে পারেন না। বাম পাশ পুরো অবশ হয়ে গেছে। চোখেও প্রচ- ব্যথা হয়। চোখের ভবিষ্যৎ কী সেটা বলা যাচ্ছে না।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর